ক্যাম্পাসে ফেরার অপেক্ষায়…
1 min read
মোঃ জহিরুল ইসলাম: বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক শিক্ষার্থীদের জীবনেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের স্মৃতি তার হৃদয়ের অনেকটা জায়গা জুড়ে বিস্তৃত। ক্যাম্পাসের প্রতিটি অবস্থানের সাথে গড়ে ওঠে তার এক গভীর সখ্যতা। এই সখ্যতা এক পর্যায়ে এমন এক ভালোবাসায় রূপ নেয় তখন ক্যাম্পাস বিচ্ছিন্ন জীবন হয়ে ওঠে বিভীষিকাময়।
মহামারী করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) প্রাদুর্ভাবে মার্চ, ২০২০ থেকেই সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসও বন্ধ হয়ে যায়। আজ জানুয়ারি, ২০২১ দীর্ঘ ১০ মাস ধরে বন্ধ আছে আমার প্রাণের ক্যাম্পাস। ক্যাম্পাস হতে বিচ্ছিন্ন আমি, তবুও ক্যাম্পাসের স্মৃতিগুলো মনের এত গভীরে গেঁধে আছে যে, সেই মূহুর্তগুলো এখনো চোখের সামনে উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো জ্বল জ্বল করছে। ক্যাম্পাসের চিরচেনা কিছু স্থান যেখানে শিক্ষার্থীদের আড্ডায় মুখরিত হয়ে থাকতো সবসময়, সেই স্থানগুলো আজ বড্ডই একা হয়ে আছে, নেই কোনো কোলাহল, নেই কোনো শিক্ষার্থীর আনাগোনা। বহুদিন কেটে গেলো নেই কারো পদচারণ। ক্যাম্পাসের বকুলতলা, বন্ধুচত্ত্বর, লন্ডন ব্রীজ, কিছুক্ষন চত্ত্বর আজ নির্জীব হয়ে আছে। রাতের আধারে জয়বাংলা চত্ত্বরে হয় না আর গানের আড্ডা। টিএসসিতে দেখা যায় না আর শিক্ষার্থীদের আনাগোনা। প্যারিস রোডে বোধহয় জমা হয়ে আছে গাছের শুকনো পাতার স্তূপ। বন্ধুর জন্মদিনে তাকে না জানিয়ে আর সারপ্রাইজ দেওয়া হয় না। সব মিলিয়ে ক্যাম্পাসে কাটানো দিনগুলোর কথা মনে পড়লে নিজের অজান্তেই চোখের কোণে জমা হয় ছোট ছোট পানির কনা। এটাই হয়তো প্রিয় ক্যাম্পাসের প্রতি আমার ভালোবাসা। আশাকরি, অতিদ্রুত আমরা এই মহামারী থেকে মুক্তি পাবো এই প্রত্যাশা রইলো।
হে পৃথিবী,
সুস্থ হয়ে ওঠো তুমি, স্বাভাবিক করে দাও জনজীবন;
ফিরতে চাই আবার আমি, মুখরিত করতে চাই প্রাণের ক্যাম্পাস।
লেখক: শিক্ষার্থী, ডক্টর অব ভেটেরিনারি মেডিসিন,
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।